পড়ে দেখুন...কেমন লাগে।
জামিলঃ সায়েম ভাই...কি খবর? ভাল আছেন?
সায়েমঃ কেন...আমি কি বলেছি আমি ভাল আছি?
জামিলঃ না...তা বলেন নি। তার মানে আপনি ভাল নেই?
সায়েমঃ আমি কখন বললাম যে আমি ভাল নেই?
জামিলঃ না না না। বলেন নাই। সরি। যাহোকগা...আপনার কাজ কর্মের কি অবস্থা?
সায়েমঃ কি অবস্থা থাকা উচিত বলে তোমার মনে হয়?
জামিলঃ ভাল থাকাই উচিত।
সায়েমঃ তোমার কেন মনে হল না যে ভাল না থাকা উচিত?
জামিলঃ কি যে বলেন ভাই। ভাল না থাকুক এটা আমি কেন চাইব?
সায়েমঃ কেন চাইবে না? কোন যুক্তিতে চাইবে না?
জামিলঃ আচ্ছা বাদ দেন তো। তা...বাসার সবাই কেমন আছে?
সায়েমঃ কেমন থাকা উচিত?
জামিলঃ অবশ্যই ভাল থাকা উচিত।
সায়েমঃ তাই না? তা বল তো...দেশের এমন কি উন্নতি হল যে সবাই ভাল থাকবে?
জামিলঃ ওটা তো ব্যাপার না। কথা হল যে, বাসার সবার মন মানসিকতা ভাল থাকতে হবে। এই আর কি...(বিশাল দীর্ঘশ্বাস)।
সায়েমঃ হুমমমম...
জামিলঃ বাদ দেন ঐ সব।
সায়েমঃ কেন বাদ দেব?
জামিলঃ এমনেতেই...
সায়েমঃ এমনেতে কেন?
জামিলঃ আচ্ছা...হুদাই কইছি আর কি। তবে একটা প্রশ্ন ছিল।
সায়েমঃ কি প্রশ্ন?
জামিলঃ আপনি কি সব প্রশ্নের উত্তর প্রশ্ন দিয়ে দেন?
সায়েমঃ কেন?আমি কখন প্রশ্ন দিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিলাম?
জামিলঃ এই যে ভাই। আপনি আমার সাথে এতক্ষণ যা বললেন সবই প্রশ্ন দিয়ে।
সায়েমঃ তাই নাকি? তা প্রশ্ন দিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিলে সমস্যাটা কোথায়?
জামিলঃ আচ্ছা...বাদ দেন। কি আর করা!
সায়েমঃ কি আর করা মানে?
জামিলঃ মানে কিছু না। আমি যাই।
সায়েমঃ কেন যাবে? কেন থাকবে না?
জামিলঃ (রাগত স্বরে ফিরে তাকায়) আমার ইচ্ছা।
সায়েমঃ তোমার ইচ্ছা এটা আবার কোন যুক্তি? তোমার এই ধরনের ইচ্ছা কেন হল?
জামিলঃ ধুর শালা। চুপ কর। আর একটা কথা কইলে তোরে মাটিতে পুঁতে ফেলুম।
সায়েমঃ তুমি কো যুক্তিতে আমাকে মাটিতে পোঁতার কথা বলছ?
জামিলঃ আমার ইচ্ছার যুক্তিতে। হইছে শালার শালা। দূর হ।
সায়েমঃ তুমি কোন যুক্তিতে মনে কর তুমি আমার কাছ থেকে ছাড় পাবে?
জামিলঃ না পাইলে নাই। ভাগ। তোর যুক্তির আমি খেতা পুড়ি।
লেখাটি কাল্পনিক। তবে পুরোপুরি অবাস্তব নয়। পাঠক, আপনার কাছে প্রশ্ন রইল....লেখাটি পড়ে বলুন তো....কার ধৈর্য বেশি? সায়েমের, জামিলের, লেখকের নাকি পাঠকের??!!!!!